তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

আইবিডি (IBD) এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার





দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান হল ইনফ্লামেটরী বাওয়েল ডিজিজ তথা আইবিডি(IBD)। আইবিডির মধ্যে দুটো রোগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ যথাঃ ক্রনস ডিজিজ ও আলসারেটিভ কোলাইটিস।

আইবিডি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা যা বছরের পর বছর চলতে থাকে এবং হঠাৎ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়ার আচরণ দেখায়। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে ক্রনস ডিজিজ-এর চেয়ে আলসারেটিভ কোলাইটিস এ মানুষ বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। আর ওষুধ খেয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখছে । একটা বিষয় লক্ষণীয় যে - স্বল্পমেয়াদী ব্যাকটেরিয়া জনিত আমাশয়েও রক্ত যায়, কিন্তু এর সাথে আলসারেটিভ কোলাইটিসের পার্থক্য হল যে এটি দীর্ঘমেয়াদী ৷ এতে অধিকাংশ রোগীর ওজন ঠিক থাকে। কারও কারও জ্বর, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা ও পেটে অশ্বস্তি লাগার মত সমস্যা হতে পারে।

আইবিএস (IBS) এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার







দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে একটি হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম তথা আইবিএস। পৃথিবীর মানুষ পরিপাকতন্ত্রের যে সমস্যাটিতে সবচেয়ে বেশী ভুগে থাকেন এবং যে সমস্যাটির জন্য জীবন যাপনের মানে ঘাটতি হয় তা হলো আইবিএস৷ পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই প্রায় দুই থেকে তিনগুণ এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। যারা আইবিএস নামক দীর্ঘমেয়াদী আমাশয় সমস্যায় ভুগেন তাদের কারো কারো উক্ত রোগের সাথে বদহজম, দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি, মাসিকের সময় ব্যথা এবং পুরো শরীর ব্যথাসহ এই জাতীয় সমস্যা থাকে ৷

আইবিএসের কারণঃ
আইবিএসের কারণ ও প্রভাবক হিসেবে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো দুটো ভাগে ভাগ করা যায় ৷ যেমন - মনোসামাজিক ও শারীরবৃত্তীয়।
মনোসামাজিক কারণের মধ্যে আছে দুশ্চিন্তা ও হতাশা। এছাড়া হঠাৎ অধিক মানসিক চাপও আইবিএসকে প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, আইবিএসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প সমস্যা হলেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তারা পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিতে পারেন না।
শারীরবৃত্তীয় সমস্যার মধ্যে রয়েছে অন্ত্রনালীর অস্বাভাবিক নাড়াচাড়া, অন্ত্রনালীর বেশী স্পর্শকাতর হয়ে পড়া, এলার্জী ও ইনফেকশন।

হে ফিভার কি, জেনে নিন এর লক্ষন ও প্রতিকার






হে ফিভার হলো হঠাৎ করে শুরু হওয়া অ্যালার্জির মতো। হে ফিভার বা অ্যালার্জি হলে সেই রোগীর অধিক পরিমাণে বার বার হাঁচি হতে থাকে। নাক দিয়ে সব সময় পানির মতো পড়তে থাকে এবং নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

এই রোগের উৎপত্তি সাধারণত ধুলাবালি, ফুলের রেণু, তুলার অাঁশ থেকে কিংবা রোগী সেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি হয় সেসব খাবার থেকে হয়ে থাকে। এই অ্যালার্জির কারণে হে ফিভার বা অনবরত হাঁচি হতে থাকে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগীদের এ ধরনের উপসর্গ বেশি দেখা যায়।

সাধারণত ঘাস ফুলের রেণু থেকেই বেশি অ্যালার্জি হয়ে থাকে। অনেক খাবার থেকে বা ধুলাবালি থেকে যদি অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় তাহলে প্রায় সারা বছরই এ রোগের উপসর্গগুলো দেখা যায়। এই রোগের নাম হে ফিভার হলেও অ্যালার্জির কারণে হাঁচিতে জ্বর হয়না।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এর কারন, লক্ষণ ও প্রতিকার





অ্যালার্জিক রাইনাইটিস সাধারনত ঠান্ডা জনিত উপসর্গ হাঁচি , চুলকানি, এবং বন্ধ কিংবা প্রবাহ প্রবন নাক এর কারনে হয়ে থাকে। এই উপসর্গ গুলো সাধারনত শুরু হয় অ্যালার্জেন প্রকাশিত হবার পর পরই। কিছু মানুষের অ্যালার্জিক রাইনাইটিস কয়েক মাসের জন্য হয় আবার কিছু মানুষ সারা বছরই অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এ আক্রান্ত থাকে।

রোগের লক্ষনঃ
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস এ আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের কিছু হালকা উপসর্গ বা লক্ষণ থাকে যা খুব সহজেই চিকিৎসা করে ভাল করা যায়।
এলার্জিক রাইনাইটিস রোগটি হলো এলার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। এর অন্যতম প্রধান লক্ষন হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারো কারো চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

আইবিএস কি, জেনে নিন এর লক্ষণ ও প্রতিকার





অন্ত্রের সমস্যার মধ্যে ‘ইরিটেবিল বাওয়েল সিনড্রোম’ বা ‘আইবিএস’ অন্যতম। কয়েকটি লক্ষণের সমষ্টিগত প্রকাশকে ‘সিনড্রোম’ বলা হয়। এটি মূলত বৃহদান্ত্রজনিত সমস্যা। অনেক সময় একে ‘উত্তেজিত মলাশয়’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়। এটি অন্ত্রের অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ যেমন- ক্ষতযুক্ত বৃহদান্ত্র (আলসারেটিভ কোলাইটিস), ক্রোন’স্ ডিজিস থেকে আলাদা। এ রোগে অন্ত্রে কোনও প্রদাহ বা কোষকলার পরিবর্তন হয় না বা ‘কলোরেকটাল ক্যান্সার’-হওয়ার আশংকা নেই। কারও কারও ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ তেমন কষ্টদায়ক না হলেও স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।