তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

কিভাবে চুল পড়া রোধ করবেন





আপনি কি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন ।
কিছু নিয়ম অনুসরন করে সহজে চুল পড়া রোধ করতে পারেন ।
আজ এরকম কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব ।


১)খাবারে লবণ কম খাবেন । লবণ মাথার ত্বকের কোষে পানি জমে থাকত করে । মাথার ত্বকের কোষে পানি জমে থাকল গোড়া নরম হয়ে অধিক চুল পড়তে সাহায্য করে ।


২)ওজন বা মেদ কমানোর জন্য অনেকে হঠাৎ খাওয়া- দাওয়া, একেবারেই ছেড়ে দেয় । এই হঠাৎ খাওয়া কমানোতেও চুল পড়ে। এ ক্ষেত্রে নিউট্রশনিষ্ট কিংবা ডায়েটিশিয়ান পরামর্শ নেয়া যেতে পারে ।


৩)গরীব-মধ্যবিত্তের চুলের সহায়ক খাবার হচ্ছে সবুজ শাক- সবজি । সবুজ শাক- সবজির মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট বা পুষ্টি উপাদান চুলের জন্য খুব উপকারী । প্রচুর পরিমাণে আয়রণযুক্ত শাক যেমন, লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে ।
তবে সামর্থবানরা আঙ্গুরস (গ্রেপ ফ্রুইটককটেল), আলু, সালাদ, কলা, মুরগির মাংস, ডিম খেতে পারেন ।


৪)প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি যেমন- নাশপাতি, বাদাম, গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি ও জলপাই তেল খাবেন ।


৫)প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান । প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে । প্রেটিনের অভাবে চুলের রঙ প্রথমে নষ্ট হয়ে যায় ।
চুল লালচে বাদামি হতে থ পরে চুল ঝরে যায় এবং চুলের আগা ফাটতে থাকে। কেরাটিনের অভাবে চুল ফেটে যায় । খাদ্য তালিকায় মাছ, গোশত, ডিম, দুধ, ডাল, দই, পনির ইত্যাদি থাকা জরুরি ।


৬)অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- আইসক্রিম, পেস্ট্রি কেক, লবণ,ফাস্টফুড, জাংক ফুড,চিনি, পশুর চর্বি,বাটার, ক্রিম, অধিকচর্বিযুক্ত চিজ,হুয়াইট ব্রেড ওময়দা, ভাজা ও চকলেটএবং হোল মিল্ক,
কার্বনেটেড ড্রিঙ্কসইত্যাদি পরিহারকরুন । অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না । চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী ।


৭)ওমেগা- থ্রি (৩)ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর । প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায় ।
প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে ।
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি পাওয়া যায় ।


৮)নতুন চুল গজাতে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে অন্তত পাঁচ মিনিট ১০-১৫ মিনিট চুলের ম্যাসাজ করুন। কোকোনাট কিংবা এলমন্ড অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন ।
তেল চুল গজাতে বা চুলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে, তবে তেল ম্যাসাজ করলে স্ক্যালেন্ড রক্ত সঞ্চালন হয় এবং চুল বাহ্যিকভাবে চকচকে,মসৃণ হয় ।


৯)চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন । অনেকে চুল খুব ঘন ঘন আঁচড়ান। এটা ঠিক নয় । খুব বেশি চুল আঁচড়ানোর ফলে সেবাশিয়াস গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে উঠলে চুল পড়ে ।
আবার চুল না আঁচড়ানোও ঠিক নয়। নিন্মমানের চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার এবং সঠিকভাবে চুল না আঁচড়ানোর জন্যও চুল পড়ে ।


১০)গরম পানি,ড্রায়ার বা এমন কিছুব্যবহার করবেননা যা চুলে অতিরিক্তচাপ তৈরি করে। জেল,মুজ, হেয়ার ডাই এসবচুলের ক্ষতি করে ।
দীর্ঘ সময় হেলমেট,টুপি ইত্যাদি পড়ে থাক না। মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার প্রয়োজন না হলে করবেন না ।

১১)চুলের সঠিক যত্ন সম্পর্কে না জানার কারণেও অনেকের চুল পড়ে। প্রচলিত একটি ধারণা আছে, রাতে শোয়ার করে বেণী বেঁধে ঘুমাল তাড়াতাড়ি লম্বা হয় । এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা ।
এতে চুল ঝরে পড়ে দ্রুত। ভেজা চুল কখনো আঁচড়াবেন না । তোয়ালে দিয়েও খুব ঘষে চুল মুছলে চুলের ক্ষতি হয়। ভিজা চুলকখনো বাঁধবেন না ।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন । এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসি চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন ।

১২)প্রতিদিন ৫-১৫ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন ।

১৩) যারা প্রতিদিন ঘরের বাইরে বের হন তাদের এক-দুই দিন অন্তর চুল শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন।
বিজ্ঞাপনের চটকে ভুলে ভুল শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না ।

১৪)হিন্দি শব্দ চ্যাম্পু থেকে শ্যাম্পু এসেছে । এর অর্থ মালিশ বা ম্যাসাজ । এর মানে বোঝা যায় শ্যাম্পু করার সময় আপনার মাথা ম্যাসাজ বা ঘষতে হবে ।
খুশকির জন্য এ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন । তবে দীর্ঘদিন এ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয় ।

১৫)খুশকি দূরীকরণে চুল ধুয়ে তাতে কিটোকোনাজ ২% শ্যাম্পু বা ড্যানসেল শ্যম্পু হাতে ঢেলে নিন এবং দু’হাতে ঘষে নিয়ে পুরো মাথায় লাগান ।
ভালভাবে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে । আঙুলের ডগা দিয়ে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু লাগান । এরপর চুল ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে এভাবে সপ্তাহে ২ বার করে ২-৪ সপ্তাহ ব্যবহারে খুশকি কমে যাবে ।

১৬)চুল পড়া রোধের জন্য বাজারে মিনোক্সিডিল নামের ওষুধ পাওয়া যায় । এটি যেখান থেকে চুল পড়ছে সেখানে লাগাতে এটি নারী ও পুরুষ উভয়েই ব্যবহার করতে পারেন ।
এতে কাজ না হলে অন্য চিকিৎসা নিতে হবে। অন্য চিকিৎসার মধ্যে আছে লেজার থেরাপি এলএইচটি, হেয়ার ফলিকল রিপ্লেসমেন্ট, হেয়ার স্কাল্প রিপ্লেসমেন্ট ইত্যাদি ।

১৭)এছাড়া অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুল পড়ার কারণ হতে পারে । পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে ।

১৮)ধুমপান ত্যাগ করুন। ধুমপানের কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় যার ফল স্বরুপ চুল পড়ে ।

১৯)প্রতিদিন একটু করে ব্যায়ম করলে শরীর ফিট থাকার পাশাপাশি রক্ত সরবরাহ ঠিক থাকে ।
যার ফলে চুলও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয় না ।

২০)কিছু ব্যক্তিগত কারণ যেমন হরমোনের তারতম্য, খারাপ স্বাস্থ্য, বিশ্রামের অভাব ইত্যাদির প্রভাবও চুলের ওপর পড়তে পারে। টেনশন, মানসিক যন্ত্রণা ঘুম না হওয়া ।
সুষম আহার, চুলের সঠিক পরিচর্যা এবং প্রয়োজন ওষুধের ব্যবহারে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে

কিভাবে খুসকি দুর করবেন





মাথায় খুশকির সৃষ্টি নানা ভাবে হতে পারে। মাথার ত্বক যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, যদি চুল নিয়মিত পরিষ্কার না করা হয় তাহলে সহজেই খুশকি হয়। স্কাল্প বা মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও খুশকি হতে পারে। এমনি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকি হয়।
শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক ও ধুলাবালিযুক্ত। ফলে খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। যাঁদের খুশকির সমস্যা অন্যান্য সময় থাকে না, দেখা যায় শীতকালে তাঁদেরও খুশকির সমস্যা হয়।

তবে চুল ও মাথার ত্বকের সামান্য যত্ন নিলেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। জেনে নিন খুশকি দূর করার ৭টি উপায়।
১)পুরনো তেঁতুল পানিতে গুলে নিন। গোলানো তেঁতুল চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগান। ১০-১২ মিনিট অপেক্ষা করে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেঁতুল মাথায় দিন। এতে খুশকি যেমন দূর হয় তেমনি মাথার চুলকানিও কমে যায়।

২)টকদই খুশকি দূর করতে ও চুল ঝলমলে করতে খুবই কার্যকরী। ৬ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ মেহেদি বাটা ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। এতে চুল যেমন খুশকিমুক্ত হবে তেমনি চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে ও রেশমি।

৩)একটি ডিমের সাদা অংশ ও ৪ টেবিল চামচ টকদই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটা ব্যবহার করুন।

৪)মেথি চুলের খুবই উপকারী একটা জিনিস। নারকেল তেল গরম করুন। এরপর এতে মেথি গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।

৫)মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি থেঁতো করে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মেথি লাগান।

৬)চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ও খুশকি দূর করতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েল গরম করে নিন। এতে পাতিলেবুর রস মেশান। চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে অলিভ অয়েল লাগান। খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। একই পদ্ধতিতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

৭)পেঁয়াজের রস খুব দ্রুত খুশকি দূর করতে পারে। পেঁয়াজ মিহি করে বেটে নিয়ে রস ছেঁকে নিন। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগান। ২০-২৫ মিনিট রেখে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার মাথায় পেঁয়াজের রস লাগান। এতে মাথা চুলকানোও কমে যাবে।

লক্ষ্য করুন :
*নিয়মিত চুল আঁচড়ান । এতে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে ।
*পুষ্টিকর খাবার খান । এতে মাথার ত্বক ও চুল ভালো থাকবে ।
*চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন । কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি ।
*কিছু চর্মরোগ সাধারণভাবে দেখতে খুশকির মতো হয় । তাই মাথায় খুশকির পরিমাণ বেশি হলে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হোন।

কিভাবে দাঁত সুরক্ষা করবেন





আমরা আসলেই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না । এবং পরিশেষে দাঁতের কোনো সমস্যা হলে তখন তা নিয়ে বিপদে পড়ি । তাই প্রত্যেকরই দাঁত সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী। জানা উচিৎ দাঁত সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য । চলুন তবে দেখে নেয়া যাক দাঁত সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য ।

• দাঁত মাজতে আমরা নানা ধরণের টুথপেস্ট ব্যবহার করি। অনেক চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে বেঁছে নিই টুথপেস্ট । অনেকেই জেল টুথপেস্ট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন, জেল টুথপেস্ট মুখের দুর্গন্ধ এবং মুখ অনেকক্ষণ ফ্রেশ রাখতে সক্ষম হলেও দাঁত পরিষ্কারে একেবারেই অক্ষম। তাই জেল টুথপেস্ট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
• অনেকেই সকাল বেলা খালি পেতে ১ গ্লাস লেবু পানি পান করে থাকেন। এতে ওজন অনেকটা কমে । কারণ লেবু পানি মেদ কমাতে সহায়ক। কিন্তু এই কাজটির কারণে দাঁতের কতোটা ক্ষতি হয় জানেন কি? সকালে লেবু পানি পান করা দাঁতের ওপরের এনামেলের জন্য অনেক ক্ষতিকর । লেবু পানির সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে ।
• স্বাদের কারণে আমরা কতো কিছুই তো খেয়ে থাকি এবং পান করে থাকি। মুখের স্বাদের দিকে নজর দিতে যেয়ে ভুলে যাই দাঁতের কথা। মনে রাখবেন, যে সকল খাবার কাপড়ে দাগ ফেলতে সক্ষম সে সকল খাবার দাঁতের ওপরের এনামেলের ক্ষতি করে দাঁতেও দাগ ফেলতে সক্ষম ।
• আমরা অনেকেই দাঁত ব্রাশ করে ব্রাশটি খোলা ভাবে কোনো ব্রাশ স্ট্যান্ডে রেখে দিই । এবং ব্রাশগুলো হরহামেশা বাথরুমেই থাকে । কিন্তু এই কাজটি একেবারেই করা উচিৎ নয় । ব্রাশ খোলা ভাবে বাথরুমে রেখে দিলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মায় যা পরবর্তীতে ব্রাশের সময় আমাদের মুখ ও পেটে চলে যায়। সুতরাং এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
• দুধ খেতে অনেকের ভালো না লাগলেও দাঁতের জন্য দুধ বেশ ভালো একটি খাবার । দুধের ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠন মজবুত করে তোলে। গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত দুধ খেলে বাচ্চাদের দাঁতের গঠন মজবুত হয় ।
• অপরিস্কার দাঁত সকলের কাছেই অস্বস্তিকর একটি ব্যাপার । কিন্তু আপনি জানেন কি অপরিস্কার দাঁত স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা ক্ষতিকর ? দাঁত অপরিস্কার থাকলে মুখে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া জন্মায় তা হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয় । সুতরাং দাঁত পরিস্কারের ব্যাপারে কোনো অবহেলা নয় ।

কিভাবে যৌন দুর্বলতা দুর করবেন




যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষের দুর্বলতা দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে কিছু প্রাকৃতিক খাবার। না, বিদেশী কোন বহুমূল্য খাদ্য নয়। বরং আপনার হাতের কাছেই মিলবে এমন কিছু খাবার , যা যৌন দুর্বলতা দূর করে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াবে ।

১) চীনাবাদামঃ
খুবই সহজলভ্য একটি খাবার হচ্ছে এই চীনাবাদাম, কিন্তু পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এই বাদাম খুব ভালো প্রাকৃতিক উৎস amino acid ও L-arginine এর, যারা পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয়। Dr. Nicholas Perricone এর মতে, L-arginine পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে যা যৌন মিলনের সময় পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন এক মুঠো চীনাবাদাম হতে পারে পুরুষের পরম বন্ধু।

২) রসুনঃ
রসুনে আছে allicin, যা যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। সঠিক রক্ত চলাচল পুরুষাঙ্গের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দ্রুত বীর্যপতন প্রতিরোধ করে। রান্নায় তো বটেই, নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস হার্টের অসুখের পাশাপাশি যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

৩) ডুমুরঃ
এই ফলটিকে পরম অবহেলার চোখে দেখা হলেও ডুমুরের গুণের শেষ নেই। ডুমুরে আছে উচ্চ মাত্রায় amino acids যা সকল হরমোনের ভিত্তি রূপে কাজ করে। দেহে amino acids এর অভাব হলে যৌন দুর্বলতা ও যৌনতায় অনাগ্রহ দেখা দিতে পারে।

৪) কলাঃ
অত্যন্ত সহজলভ্য ফল এই কলা অসংখ্য গুণের আধার। হ্যাঁ, পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত সহায়ক। কলা দেহে প্রচুর এনার্জি যোগায়। এতে আছে একটি বিশেষ এনজাইম bromelain, যা পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করতে সহায়ক। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা যৌনতার সময় ভরপুর এনার্জি যোগায়।

৫) চিনি ছাড়া চকলেটঃ
যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চকলেট সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে, কারণ এতে আছে phenylethylamine ও alkaloid । Phenylethylamine যৌন মিলনের সময় সুখানুভূতি যোগায়, অন্যদিকে alkaloid এনার্জি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে যা সঠিক ও আনন্দময় যৌনমিলনের জন্য জরুরী। তবে চিনি সহ মিল্ক চকলেট নয়, ডার্ক চকলেট হতে হবে। আর আজকাল ডার্ক চকলেট বেশ সস্তা। ক্যাডবেরী কোম্পানির স্বল্প চিনির ডার্ক চকলেট কিনতে পারবেন বেশ অল্প দামেই।

৬) শাকসবজি ও ফলমূলঃ
শাকসবজি-ফলমূল উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এ কথা আমরা সবাই জানি। দেহের রক্ত সচালল বৃদ্ধি করতে, এনার্জি ধরে রাখতে ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকতে প্রয়োজনীয় সকল উপাদান আছে সাধারণ শাকসবজি ও ফলমূলে।। নানান রঙের শাকসবজি প্রতিদিন রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। কাঁচা সবজির সালাদটাই সবচাইতে বেশি উপকারী। নানান রকমের সবুজ শাক থেকে শুরু করে টমেটো, কুমড়া সহ নানান রকমের মৌসুমি ফল ও সবজি খাবেন প্রতিদিন।

৭) কুমড়ার বীজঃ
ছেলেবেলায় কুমড়ার বীজ ভাজা খেয়েছেন কখনো? এই অবহেলিত খাবারটি কিন্তু পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। কুমড়ার বীজে আছে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক, antioxidants selenium ও ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৮) পেয়াজঃ
প্রতিদিন রাতে শুইবার সময় একটা দেশি পেয়াজ চিবিয়ে খান । অতঃপর একগ্লাস ঠান্ডা পানি খান। দেখবেন আপনার দুর্বলতা ক্রমেই চলে যাবে ।

খুব বেশি সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে অবহেলা করবেন না।

কিভাবে লিভার সুরক্ষা করবেন

আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে লিভার একটি । আমাদের শরীরের বিপাকীয় কার্যাবলীর জন্য লিভার দায়ী। তাই, লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
আসুন জেনে নেই, যে খাবারগুলো আমাদের লিভারকে রাখবে টক্সিন মুক্ত এবং সুস্থ রাখবে আমাদের দেহ-
১. রসূন:
এক টুকরো রসূন আপনার লিভারের এনজাইম এর পরিমাণ বৃদ্ধি করবে, যাতে রয়েছে শরীরকে টক্সিন মুক্ত করার সামর্থ্য। এছাড়াও রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলিসিন ও সেলেনিয়াম। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো লিভারকে পরিষ্কার রাখে।
২. জাম্বুরা:
ভিটামিন-সি ও এন্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এ ফল, লিভারকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে। এক গ্লাস জাম্বুরার রস পান করলে ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যা শরীরের কারসিনোজেন এবং টক্সিনসমূহ দূর করতে সাহায্য করে।
৩. বীট ও গাজর:
পালং শাক ও গাজর এ রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফ্লাভনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন। এগুলো খাওয়ার ফলে লিভারের সকল অংশের উন্নতি সাধিত হয়।
৪. সবুজ চা:
সবুজ চা এন্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। কেটেচিন নামক এক প্রকার উপাদান রয়েছে, যা লিভারের সমস্যা দূর করে। সবুজ চা শুধু স্বাদেইমজা যে তা নয়, এটি ডায়েট এর জন্য সব থেকে ভাল খাদ্য।
৫. সবুজ শাকসবজি:
লিভারকে পরিষ্কার ও সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে ভাল খাবার হল সবুজ শাকসবজি। সবুজ শাক রান্না করে বা জুস করে খেতে পারেন। এটিতে রক্তের টক্সিন মুক্ত রাখার উপাদান রয়েছে।
শরীরের সকল প্রকার রোগ নিরাময় এর ক্ষেত্রে এটি অত্যান্ত গ্রহণযোগ্যখাবার। লিভারকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. আপেল:
পেক্টিন নামক এক প্রকার উপাদান রয়েছে আপেলে। যা শরীরের খারাপ উপাদানগুলো দূর করে ও পরিপাকতন্ত্রকে টক্সিনমুক্ত করে। লিভারকেও টক্সিনমুক্ত করার কারনে, লিভার সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
৭. অলিভের তেল:
জলপাই ও শণের দ্বারা তৈরি হয় অলিভের তেল। এটি লিভারের জন্য অনেক উপকারী। এটি শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। শরীরের বিভিন্ন ব্যাথাকে দূর করার জন্য এই তেল অনেক উপকারী। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, শরীরকে ব্যাথামুক্ত করে।
৮. লেবু:
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। পানি পান করার কারনে শরীরের যে উন্নতি হয়, লেবুর রসের কার্যকারিতাও একই। প্রতিদিন সকালে লেবুর রস বা এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে লিভার পরিষ্কার হয়। পেটের চর্বি কমাতে এটি সাহায্য করে।
৯. বাঁধাকপি:
বাঁধাকপিতে ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের পরিমাণ বেশী। যা লিভারের টক্সিন দূর করে। বাঁধাকপির তরকারি ও স্যুপ করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
১০. হলুদ:
লিভারের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য উপাদান হলুদ। লিভারের ডিটক্স এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে, লিভারকে পরিষ্কার করে।
লিভারকে সুস্থ রাখতে উপরের খাবারগুলো গ্রহণ করুন। শরীর সুস্থ থাকলে সবকিছু ভাল লাগবে।

জেনে নিন তুলসী পাতার উপকারিতা কি কি




তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস, রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক। নিচে এর অসাধারণ গুনের কথা তুলে ধরা হলো।

১। নিরাময় ক্ষমতা :তুলসী পাতার অনেক ঔষধি গুনাগুণ আছে। তুলসি পাতা নার্ভ টনিক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি কারী। এটা শ্বাস নালী থেকে সর্দি–কাশী দূর করে। তুলসীর ক্ষত সারানোর ক্ষমতা আছে। তুলসী পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে ও অনেক বেশি ঘাম নিঃসৃত হতে সাহায্য করে।

২। জ্বর সাড়াতে: তুলসীর জীবাণু নাশক, ছত্রাক নাশক ও ব্যাক্টেরিয়ানাশক ক্ষমতা আছে। তাই এটা জ্বর ভালো করতে পারে। সাধারণ জ্বর থেকে ম্যালেরিয়ার জ্বর পর্যন্ত ভালো করতে পারে তুলসী পাতা।

তুলসী পাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে ফুসফুসীয় সমস্যায়। ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে তুলসী পাতার রস, মধু ও আদা মিশিয়ে পান করলে উপশম পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে তুলসী পাতার রস,লবণ ও লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে ফল পাওয়া যায়।

৩। ডায়াবেটিস রোগে: তুলসী পাতায় প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল ও ক্যারিওফাইলিন উৎপন্ন করে। এই উপাদান গুলো অগ্নাশয়ের বিটা সেলকে কাজ করতে সাহায্য করে( বিটা সেল ইনসুলিন জমা রাখে ও নিঃসৃত করে)। যার ফলে ইনসুলিন এর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এতে ব্লাড সুগার কমে এবং ডায়াবেটিস ভালো হয়।

৪। কিডনি পাথর দূর করতে : রক্তের ইউরিক এসিড-এর লেভেলকে কমাতে সাহায্য করে কিডনিকে পরিষ্কার করে তুলসী পাতা। তুলসীর অ্যাসেটিক এসিড এবং এসেনশিয়াল অয়েল এর উপাদান গুলো কিডনির পাথর ভাঙতে সাহায্য করে ও ব্যাথা কমায়। কিডনির পাথর দূর করার জন্য প্রতিদিন তুলসীপাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে নিয়মিত ৬ মাস খেলে কিডনি পাথর দূর হবে।

৫। ক্যান্সার নিরাময়ে: তুলসীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি কারসেনোজেনিক উপাদান ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওরাল ক্যান্সার এর বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে। কারণ এর উপাদানগুলো টিউমারের মধ্যে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। উপকার পেতে প্রতিদিন তুলসীর রস খান।

৬। শিশু রোগে : তুলসী পাতার রস শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষত শিশুদের ঠাণ্ডা লাগা, জ্বর হওয়া, কাশি লাগা, ডায়রিয়া ও বমির জন্য তুলসীপাতার রস ভালো কাজ করে। জলবসন্তের পুঁজ শুকাতেও তুলসীপাতা ব্যবহৃত হয়।

৭। মানসিক চাপ কমায়: মানসিক চাপে অ্যান্টিস্ট্রেস এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক অবসাদ প্রশমনে এমনকি প্রতিরোধে তুলসী চমৎকার কাজ করে। কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অন্তত ১২টি তুলসীপাতা দিনে দু’বার নিয়মিত চিবাতে পারেন তাহলে সেই ব্যক্তি কখনো মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হবেন না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

৮। মুখের ঘা দূর করতেঃ তুলসী পাতা মুখের আলসার ভালো করতে পারে। মুখের ঘা শুকাতেও তুলসীপাতা ভালো কাজ করে। মুখের ইনফেকশন দূর করতে তুলসীপাতাঅতুলনীয়। প্রতিদিন কিছু পাতা (দিনে দুবার) নিয়মিত চিবালে মুখের সংক্রমণ রোধ করা যেতে পারে।

৯। মাথা ব্যথা সারাতে: এটি মাথা ব্যাথা ভালো করতে পারে। এর জন্য চন্দনের পেস্ট এর সাথে তুলসী পাতা বাটা মিশিয়ে কপালে লাগালে মাথাব্যথা ভালো হবে।

১২।রক্ত পরিস্কারে: তুলসী পাতা রক্ত পরিষ্কার করে, কোলেস্টেরল কমায় ।

১৩। পোকার কামড়ে: পোকায় কামড় দিলে তুলসীর রস ব্যবহার করলে ব্যথা দূর হয়।

১৪। ডায়রিয়া রোগে: ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন। এতে পায়খানা কমে যাবে।

১৫। প্রসাব পরিষ্কারে : তুলসীর বীজ গায়ের চামড়াকে মসৃণ রাখে। বীজ সেবনে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে থাকে। ফলে প্রসাব বেশি মাত্রায় হয়ে কিডনি পরিস্কার থাকে।

১৬। চোখের রোগ : রাতকানা রোগে নিয়মিত তুলসী পাতার রস ড্রপ হিসেবে ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।

১৭। দাঁতের রোগে : দাঁতের সুরক্ষায় তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। এ ছাড়া সরিষার তেলের সাথে তুলসীপাতার গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁত শক্ত থাকে। মুখের দুর্গন্ধ রোধে তুলসীপাতার মাজন ভালো ফল দিয়ে থাকে।

১৮। প্রসাবে জ্বালাপোড়াঃ তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়। এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয়।

১৯।দাগ দূর করতে: মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
২০। মুখের গন্ধ সাড়াতে: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান, ভালো ফল পাবেন।

২১। সৌন্দর্য বাড়াতে: ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান ৷

২২। রক্ত শোধনে: কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনো গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি।

২৩। শির ঘুর্নন: যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

২৪। রুচি বাড়াতে : সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।

২৫। ঘা শুকাতে: ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবংফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে ৷

২৬। শুক্র ঘন করতে: তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ, এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক। প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের সাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।

২৭। চোখের সমস্যা : এজন্য রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।

২৮। পুড়ে গেলে : শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রসএবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।

২৯। চর্মরোগে : তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে চর্ম রোগ ভালো হয়ে যায়।

৩০। পেট খারাপ হলে : তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান ৷ হাগু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে!!! মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!

৩১। জীবানু নাশক : মানবদেহের যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে তুলসীর পাতা অনন্য। এতে রয়েছে জীবাণুনাশক ও সংক্রমণ শক্তিনাশক উপাদান।