তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

জেনে নিন চোখের পাতা লাফায় কেন





আমাদের প্রত্যেকের কোনো না কোনো সময় চোখের পাতা নাচে বা লাফায় ৷ কিন্তু কেন চোখের পাতা লাফাচ্ছে, সেই কারণটা একবারও ভাবেন না। প্রধাণত পেশীর সংকোচনের ফলেই চোখের পাতা লাফায়। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগটির নাম Myokymia। দিনে দু-একবার হলে সেটি স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু সেটা যদি মাত্রারিক্ত হয় ও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।

কেন চোখের পাতা লাফায় বা নাচে ?
প্রত্যেকের চোখে কিছু বিশেষ পেশি থাকে ৷ এসবের মধ্যে দুটি পেশির ওপর চোখের পাতা বন্ধ হওয়া বা খুলে যাওয়া নির্ভর করে। এই পেশি দুটির একটি থাকে চোখের ওপরের পাতায়, অন্যটি নীচে। চোখের পাতা বন্ধ বা খোলার ব্যাপারে নির্দেশ আসে মগজ থেকে। ঐ নির্দেশ বৈদ্যুতিক চার্জের আকারে স্নায়ু মারফত চোখের পাতায় পৌছে। সাময়িক কোনও কারনে যদি চোখের পাতায় থাকা বিশেষ ঐ পেশি দুটোকে বৈদ্যুতিক চার্জ পৌছে দিতে না পারে, তবে চোখের পাতা নাচতে থাকে। আবার স্নায়ু থেকে পেশিতে বৈদ্যুতিক চার্জ পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গে চোখের কাঁপুনি বন্ধ হয়ে যায়।


চিকনগুনিয়া জ্বরের কারন, লক্ষণ ও প্রতিকার





চিকনগুনিয়া এক ধরনের ভাইরাস জ্বর। এডিস মশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পরবর্তী দুই থেকে চার দিনের মধ্যে আকস্মিক জ্বর এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা শুরু হয়, যা কয়েক সপ্তাহ, মাস এমনকি বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।

রোগের লক্ষণঃ
* রোগীর প্রচণ্ড জ্বর হবে, ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি কিংবা তারও বেশি তাপমাত্রা হতে পারে। এজ্বরে কোন কাঁপুনি বা ঘাম হয় না।
* জ্বর সাধারণত ২ থেকে ৫ দিন থাকতে পারে, এরপর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
* অসহনীয় মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
* শরীরের গিটে গিটে বা হাড়ের জোড়ায় জোড়ায়  ব্যথা হবে।  হাড়ের জোড় গুলি ফুলে যাবে ৷ সাধারণত এই লক্ষনটি  চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর মধ্যে প্রধান পার্থক্য ।
* চিকুনগুনিয়া জ্বরের ফলে গাঁটের ব্যাথার পাশাপাশি পেশী ব্যথার সমস্যাও দেখা যায়। অনেক সময় পেশী এতটাই শক্ত হয়ে যায় যে চলাফেরার সমস্যা শুরু হয় এবং ব্যাথা সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়ে ৷
* কয়েকদিন পর শরীরে র‍্যাশ উঠবে। শরীর খুব দূর্বল হয়ে যাবে ৷
* জ্বর ২ থেকে ৩ দিনের ভেতর কমে যাবে কিন্তু এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত শরীর ও গিরায় ব্যথা থাকতে পারে।
* অনেকের চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখের মধ্যে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। আবার অনেক সময় চোখের ব্যথা এতটাই বেড়ে যায় যে আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হয় ৷


সিম ক্লোনিং কি এবং এর থেকে বাঁচার উপায়






আজকের আয়োজন সিম ক্লোনিং কি এবং এবং করণীয় ? কেমন আছেন আপনারা ? নিশ্চয়ই ভাল আছেন ৷ ধারাবাহিক টিউনের আজকের পর্বে থাকছে সিম ক্লোনিং কি, কিভাবে হয়, হলে সমস্যা কি এবং কিভাবে এর থেকে নিজেকে রক্ষা পাবেন ?

সিম ক্লোনিং কি ?
সাধারণত একটি সিম এর নং কপি করে যদি অন্য কেউ নতুন সিম বানিয়ে ব্যবহার করে থাকে তাকে সিম ক্লোনিং বলে ৷ অর্থাৎ একই নং দুইজন ব্যবহার করে থাকে ৷ এক্ষেত্রে সিমের আসল মালিক এবং ক্লোনকারী উভয়ের হাতে একই ফোন নং সম্বলিত সিম থাকে ৷

► ১- কিভাবে বুঝবেন আপনি সিম ক্লোনের শিকার ?

একটি সিম যেটি আপনি ব্যবহার করছেন সেই সিম টি যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে কিংবা এক নাম্বার যদি দেখেন এক সাথে দুইজন ব্যবহার করে কিংবা হঠাৎ করে যদি দেখেন আপনার সেল ফোনের কানেকশন নাম্বার থেকে ব্যালান্স কোন কারন ছাড়া কমে যাচ্ছে তবে আপনি সিম ক্লোনের শিকার।

জেনে নিন চোখ লাল হয় কেন






আমাদের চোখ কখনো কখনো লাল হয়ে যায়, চুলকায়, পানি পড়ে, ব্যথা করে ৷ কিন্তু আমরা জানিনা কেন লাল হয় ? তাই আজকের আয়োজন চোখ লাল হয় কি কারনে এবং লাল হলে করণীয় কি ?

চোখের কনজাংটিভার ভিতরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রক্ত নালী অবস্থিত ৷ এই ছোট ছোট রক্ত নালী থেকে রক্ত বেরিয়ে আসলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সাধারণত দুটি কারনে চোখ লাল হয়৷ যেমন-
১.কনজাংটিভায় রক্তক্ষরণ
২.চোখের ভিতর রক্তক্ষরণ