কেমন আছেন আপনারা সবাই? নিশ্চয় ভালো আছেন। আজকে কলার খোসার উপকারী দিক নিয়ে হাজির হলাম। ঔষধ এর কাজ করবে এই কলার খোসা। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এটা আবার কেমন কথা? হ্যাঁ, অনেকেই বিশ্বাস করবে না কলার খোসা আবার ঔষধ এর কাজ করে। বিপুল জনপ্রিয় কলা খেতে যেমন ভালো, তেমনি ভালো এর পুষ্টি গুন। আর শুধু পুষ্টি গুন নয়, কলার খোসাও ব্যবহার করা যায় ঔষধ হিসাবে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই কলার খোসার কার্যকারিতা সম্পর্কে।
ঝকঝকে দাঁতের জন্যঃ প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই ওঠাতে পারেন না। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন। দাঁতের ব্যাথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজ করে । দাঁতে পাকা কলার খোসা প্রতিদিন ঘষুন, এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে তা ভালো কাজে দেবে।
দাদের ওষুধঃ কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। চুলকালে সেই অংশে কলার খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হবে এবং দ্রুত দাদ সেরে যাবে।
খোস পাঁচড়াঃ ত্বকে কোথাও পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই জায়গায় কলার খোসা মেখে রাখুন, অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক দিন ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
পোকা-মাকড় কামড়ানোঃ যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাত কামড় দিয়ে বসে এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে।
শরীরের অবসাদঃ ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেওয়ার চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এতে অবসাদ দূর হয়। কলার খোসায় মুড-নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক সেরোটোনিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। সেই সেরোটোনিন শরীরের অবসাদ দূর করে।