টেক পার্ক

তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

চেক ছাড়াই সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলবেন যেভাবে

 



আপনি কি সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক? আপনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলবেন? কিন্তু ব্যাংকে আসার সময় চেকে আনতে ভুলে গেছেন৷ অথবা আপনি জেলা শহরে বিশেষ কাজে গেছেন৷ হঠাৎ আপনার টাকার প্রয়োজন কিন্তু সাথে চেক নেই যে ব্যাংক থেকে তুলবেন৷ এরকম পরিস্থিতিতে একটাই সমাধান সোনালী ই- ওয়ালেট৷ 

আজকাল কমবেশি  সবাই অ্যান্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার করেন৷ আর এই ফোন সাথে থাকলে অনেক দরকারি কাজ করা যায় নিমিষেই, বিশেষ করে ব্যাংক লেনদেন করা যায় নিজে বাসা থেকেই৷

আমরা যারা শিক্ষক আছি তারা সবাই প্রতি মাসে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিল বেতন গ্রহণ করি৷ আমাদের প্রতি মাসের প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা আমরা  একাউন্টেই রাখি৷ আর সে টাকা ম্যানেজমেন্ট আমরা ফোনেই করতে পারি, যেমন ব্যালেন্স চেক করা, অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার, বিকাশে ট্রান্সফার, ডিপিএস প্রদান- এ রকম আরো অনেক সেবা আমরা আমাদের হাতের মুঠোয় করতে পারি ৷ এজন্য দরকার সোনালী ই-ওয়ালেট নামক অ্যাপ্লিকেশন যা প্লেস্টোরে পাওয়া যায়৷ 

যাই হোক, এবার মূল কথায় আসি৷ আজকে জানবো কিভাবে চেক ছাড়াই সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখা থেকে ক্যাশ উত্তোলন করবেন কোন রকম খরচ ছাড়াই?

এজন্য আপনার ফোনে সোনালী ই-ওয়ালেট ইনস্টল করতে হবে৷ অ্যাপটি ইনস্টল করার পর অ্যাপের মাধ্যমে আপনাকে একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে৷ তারপর আপনার ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে আপনার নিবন্ধনটি  অনুমোদন করে নিতে হবে৷ তাহলেই আপনার কাজ শেষ৷ এর পর থেকে আপনি সোনালী ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে চেক ছাড়াই টাকা তুলতে পারবেন৷ 

কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেনঃ

১. সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায়  QR code টানিয়ে রাখা আছে।

২. সোনালী ই-ওয়ালেট অ্যাপ্স এর মাধ্যমে আগে অ্যাড মানি ফিচার ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ই-ওয়ালেট এ টাকা নিয়ে আসুন।

৩. এখন QR code স্ক্যান করে ক্যাশ আউট করুন।

৪. ক্যাশ সেকশনে বলুন টাকার পরিমান, মোবাইল নাম্বার। (কোন কোন শাখায় একটা সাদা স্লিপ দেয় যেটা পূরণ করে জমা দিতে হবে)

৫. এবার ক্যাশ সেকশন থেকে আপনার অর্থ গ্রহন করুন।

কত সহজ একটি বিষয় যা আমরা ব্যবহার করতে জানি না৷ 


সোনালী ই- ওয়ালেটে যে সকল সুবিধা গ্রাহক পাবেনঃ

১. কোন চেক লাগবে না৷

২. আপাতত কোন চার্জ নেই৷

৩. সোনালী ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন৷

৪. ২ মিনিটেই ক্যাশ হাতে পাবেন৷ 

৫. সিগনেচার ভেরিফিকেশন এর ঝামেলা নেই৷ 

৬. সোনালী ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চে টাকা পাঠাতে পারবেন৷

৭. বাংলাদেশের যেকোন অনলাইন ব্যাংকে ২ মিনিটেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন৷ 

৮. ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা সেন্ড করতে পারবেন৷

৯. আপনার মোবাইলে টপআপ বা ফ্লেক্সিলোড করতে পারবেন৷ 

১০. অ্যাপ থেকে নতুন চেক বইয়ের আবেদন করতে পারবেন৷ 

১১. ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন৷ 

১২. ব্যাংক লেনদেনের  মিনি স্টেটমেন্ট দেখতে পাবেন৷ 

ধন্যবাদ পোস্টটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য৷ 

এমআরআই মেশিনের ভিতরে সেক্স, বেরিয়ে এলো নতুন চমকপ্রদ তথ্য

 

sex in MRI


এমআরআই যন্ত্রের ভিতরে যৌনতায় মত্ত বিজ্ঞানী! কেন করা হল এই পরীক্ষা? ফলাফলই বা কী হল? যদি ঘটনাটি জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি পড়ুন, জানতে পারবেন অবাক করা তথ্য৷ 


নিজের বংশধারাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাণী প্রজনন করে।  কিন্তু অন্তত মানুষের ক্ষেত্রে প্রজনন কেবল জৈবিক অনুশীলন নয়, মনের গভীরে  থাকা বিভিন্ন প্রবৃত্তির প্রকাশও বটে। তাই শারীরিক মিলন নিয়ে গবেষকদেরও  উৎসাহের অন্ত নেই। এমনই এক গবেষণায় ৩ দশকেরও বেশি সময় আগে অভূতপূর্ব কাণ্ড  ঘটান এক ইউরোপীয় যুগল। এমআরআই স্ক্যানারের ভিতর মিলিত হন তাঁরা।


১৯৯১ সালে বিজ্ঞানচর্চার জন্য ইডা সাবেলিস নামের এক মহিলা গবেষক এবং তার  প্রেমিক জুপ এমআরআই স্ক্যানারের ভিতর সঙ্গমে লিপ্ত হন। দম্পতির মিলনের সময়  এমআরআই করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানী মেনকো ভিক্টর ভ্যান অ্যান্ডেল।  সহবাসের সময় মানবদেহের ভিতরে ঠিক কী ঘটে তা ভাল ভাবে বুঝতেই এ হেন  পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানীরা।


ঝুঁকিপূর্ণ এই গবেষণাটিতে এমন কিছু ছবি পাওয়া যায়, যা আগে দেখা যায়নি। এই  এমআরআই-এর ছবি এবং ফলাফল যৌনমিলন সংক্রান্ত গবেষণায় একটি নতুন দিক খুলে  দেয়। এই গবেষণায় প্রাপ্ত ছবি ও তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী কালে  বৃহত্তর বেশ কিছু গবেষণাও হয়।


ঠিক কী দেখা গিয়েছিল সেই গবেষণায়? এমআরআই স্ক্যানারের মধ্যে দম্পতির  যৌনমিলনের সময় দেখা যায়, মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ বুমেরাং-এর মতো বেঁকে যায়।  অর্থাৎ ঋজু পুরুষাঙ্গও অনমনীয় নয়। বরং মিলনকালে নারীদেহে প্রবেশের পর তা  বিশেষ ভাবে বেঁকে যায় কোনও রকম যন্ত্রণা ছাড়াই।


প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী উল্লম্ব ভাবে মিলিত হওয়ার কথা ছিল ইডা ও জুপের।  কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু বোঝা যায়নি। এর পর ইডাই পরামর্শ দেন বিভিন্ন কোণ  থেকে ছবি তোলার। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী এমআরআই যন্ত্রের ভিতর বিভিন্ন  ভঙ্গিতে মিলিত হন তাঁরা। পাশাপাশি ভাবে মিলিত হওয়ার সময় ধরা পড়ে  পুরুষাঙ্গের বক্রতার বিষয়টি।


কেবল পুরুষাঙ্গই নয়, যোনিপথ এবং জরায়ু নিয়েও একাধিক তথ্য উন্মোচিত হয় এই  গবেষণায়। গবেষণাটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলটি হল, যোনিপথ সরলরৈখিক নয়।  তারও একটি স্বতন্ত্র বক্রতা রয়েছে। আর পুরুষাঙ্গ যোনিপথের স্বাভাবিক  বক্রতা অনুযায়ী নিজেকে বাঁকিয়ে নিতে পারে।


লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ১৪৯২ সালের আঁকা ছবি দেখে শারীরবিদ্যায় একটি ধারণা  তৈরি হয় যে, যোনিপথ বেলনাকৃতির। পাশাপাশি এই ধারণাও তৈরি হয় যে, এক জন  পুরুষের লিঙ্গ সরলরৈখিক ভাবে এক জন মহিলার যোনিতে প্রবেশ করে। আবার সরাসরি  বেরিয়ে আসে। এই গবেষণায় পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন সেই ধারণা ভেঙে যায়।


ইডা ও জুপের স্ক্যানের পর আরও কয়েক জন দম্পতি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই গবেষণায়  অংশ নেন। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর এই গবেষণাগুলির সম্মিলিত ফলাফল ব্রিটিশ  মেডিক্যাল জার্নাল-এ বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ পায়। প্রকাশের পরই এই  গবেষণাপত্র সর্বকালের সর্বাধিক পঠিত গবেষণামূলক প্রতিবেদনের একটি হয়ে ওঠে।


ইডা এক জন ঘোষিত নারীবাদী। একটি সাক্ষাৎকারে ইডা জানান, তিনি এই পরীক্ষায়  অংশ নিয়েছিলেন যাতে নারীদেহ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা স্পষ্টতর হয়। তাঁর  দাবি, এই গবেষণায় সেই পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে।


শুধু নারীবাদীই নন, ইডা এক জন শিক্ষাবিদও বটে। আমস্টারডামের ভ্রিজ  বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্বের শিক্ষিকা ইডা। তিনি নিজেও এই গবেষণাপত্রের  অন্যতম লেখিকা। ইডা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা  সঙ্কোচ থাকলেও গবেষণা শুরু হওয়ার পর নিজেদের চাপমুক্ত করতে হাসি-ঠাট্টায়  মেতে উঠেছিলেন তিনি এবং জুপ।


ইডার দাবি, তাঁরাই একমাত্র যুগল যাঁরা কোনও রকম যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধ ছাড়াই  পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন। তাঁদের পর আর কেউই তা করতে পারেননি। এর  থেকেই বোঝা যায় বিষয়টি আদৌ খুব একটা সহজ ছিল না।


ইডার সঙ্গে সহমত গবেষণার শীর্ষবিজ্ঞানী মেনকো ভিক্টর ভ্যান অ্যান্ডেলও।  গোটা পরীক্ষার জন্য সময় লেগেছিল ৪৫ মিনিট। এমআরআই যন্ত্রের ভিতর তীব্র শব্দ  হত সে সময়। শুয়ে থাকার জায়গাও বেশ কম ছিল। সেখানে ইডা ও জুপের প্রয়াসকে  সাধুবাদ জানিয়েছিলেন তিনিও।


কিন্তু স্ক্যান করার পরই শেষ হয়নি কাজ। প্রথিতযশা কোনও বিজ্ঞানপত্রিকায় এই  ধরনের গবেষণা প্রকাশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি, কেবল একটি মাত্র  সঙ্গমের ছবির উপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক দাবি করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেক  বিশেষজ্ঞ। গবেষকের দাবি, বিজ্ঞানপত্রিকা নেচার কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁদের  গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে অস্বীকার করে।


বাধ্য হয়ে ইডা এবং মেনকো স্বেচ্ছাসেবীদের খোঁজ শুরু করেন। ৮ দম্পতি এবং ৩  নারী গবেষণায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁদের এমআরআই করার আগেই  সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায় বিষয়টি। রোগীদের চিকিৎসা বিলম্বিত করে এই ধরনের  গবেষণায় কেন এমআরআই যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা  হয় নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমে।


শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিনজেন হাসপাতাল এই গবেষণার কাজে তাদের  এমআরআই যন্ত্র ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়। এর পর মোট ১৩ বার শারীরিক  মিলনের ছবি তোলা হয় এমআরআই যন্ত্রের ভিতর।


এমআরআই করা সম্ভব হলেও গবেষণাপত্র প্রকাশে রাজি হয়নি বড় কোনও  বিজ্ঞানপত্রিকা। তবু হাল ছাড়েননি গবেষকরা। অবশেষে ৮ বছর পর ম্যাগনেটিক  রেজ়োন্যান্স ইমেজিং অফ মেল অ্যান্ড ফিমেল জেনিটালস ডিউরিং কয়টিয়াস অ্যান্ড  ফিমেল সেক্সুয়াল অ্যারোসাল নামে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এ প্রকাশ পায়  গবেষণাপত্রটি।


গবেষণার পর কেটে গিয়েছে ৩০ বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু সেই গবেষণা এবং তার  থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলি নিয়ে আজও জনসাধারণের উৎসাহের অন্ত নেই। সম্প্রতি সেই  ছবিগুলি ফের ভাইরাল হয় টিকটকে। সমাজমাধ্যমে ছবিগুলি নতুন করে ঝড় তোলে৷ ৩  দশক আগে তরুণ গবেষকদের এমন দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেছেন অনেকেই৷


আপনি কি জানেন, এন্টিবায়োটিক সেবন করে আপনি নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন ?

এন্টিবায়োটিকের কুফল

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ফ্লেমিং স্যার বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবেনা। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।'' কিন্তু কেন তিনি এমন কথা বলেছেন আপনি জানেন কি? হয়ত বিষয়টা জানেন না৷ বিষয়টা জানতে হলে এই পোস্টটি ভালো ভাবে ধৈর্য নিয়ে পড়ুন, আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন৷ 


এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।

 

ধরুন, আপনি রোগাক্রান্ত, আপনার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। (এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক।) কিন্তু আপনি খেলেন মাত্র ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আপনি প্রায় সুস্থ হয়ে গেলেন। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেলো। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা যা শুনলে আপনার  চোখ কপালে উঠবে৷ 


তারা ভাবলো, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। অতএব আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পড়তে হবে এবার। তাই তারা ওমনি প্ল্যান করে ফেলল, থেমে থাকলো না ৷ সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পড়িয়ে দেয়। এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা  আর শরীরে কাজ করেনা।


সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পড়া ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকেনা। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি যখন হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ঐ এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।


তাই ভাবুন, আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব একটা বেশি না। জানলে  অবাক হবেন যে, অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হসপিটাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবেনা। সামান্য সর্দি জ্বরেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।


উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা বাংলার মানুষরা। 'মেডিসিনের বাইবেল' নামে পরিচিত ডেভিডসনের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের কথা উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,

"This organism is registrant against this Drugs in Indian subcontinent''


টিভি পত্রিকায় নানান বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। বাথরুম করে হাত ধুতে হবে, কাশি হলে ডাক্তার দেখাতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এন্টিবায়োটিক নিয়ে কোনো কিছু আজও চোখে পড়েনি। অথচ এটা অন্যগুলোর চেয়েও বেশি জরুরী। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে এত সচেতনতা দিয়েও আর লাভ হবেনা।


আগুন নিয়ে খেলছে আমাদের দেশের  ফার্মেসিওয়ালারা৷ কেননা রোগী ফার্মেসীতে গিয়ে একটু জ্বরের কথা বললেই ফার্মেসীতে বসে থাকা সেই লোকটি দিয়ে দিচ্ছে Ezithromycin অথবা cefixime কিংবা cefuroxime বা levofloxacin নামক কিছু নামকরা দামী এন্টিবায়োটিক৷ কিন্তুু কতো দিন খেতে হবে সেটা না জানিয়ে সুন্দর করে বলে দেয় এই ওষধটি ১ ডোজ খাবেন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে৷ আর এই ভাবেই আস্তে আস্তে আমাদের শরীরে Resistance হচ্ছে সব এন্টিবায়োটিক।  


তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা উচিত। সবাইকে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার।

জেনে নিন গর্ভাবস্থায় শরীর, হাত, পা ফুলে গেলে কী করবেন?

Edema in pregnancy

 
 
গর্ভাবস্থায় জরায়ুর আকার বাড়ার সাথে সাথে মায়েদের পেলভিক শিরা এবং ভেনা কেভাতে চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে নিম্নাঙ্গ থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যায় যার ফলে শিরা থেকে তরল বের হয়ে তা শরীরের টিস্যুতে জমা হয়। এই অতিরিক্ত তরল জমার ফলে শরীর নরম থাকে যাতে বাচ্চা বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মায়ের শরীরও বড় হতে পারে। এই অতিরিক্ত তরল পেলভিক জয়েন্ট এবং টিস্যুগুলোকে বাচ্চা প্রসবের জন্য উপযোগী করে তোলে। সাধারণত তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে শরীরে পানি আসা বা ফুলে যাওয়ার প্রবনতা দেখা দেয়। যাদের এমনিওটিক ফ্লুইড বেশী থাকে এবং গর্ভে যমজ সন্তান থাকে তাদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা বেশী থাকতে পারে। সাধারণত দিনের শেষে বা গরম কালে এটি বেশী হতে পারে।
আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় ফোলা কমাতে কি কি করা যেতে পারে-
 
১) বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা পা নিচের দিকে মাটিতে রেখে বসে থাকলে শরীরের শিরার উপর চাপ পড়ে। যার ফলে ফোলা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে না থেকে কিছুক্ষন পর পর কিছু সময় বসে থাকুন। বসার সময় পা কিছুর উপর তুলে রাখতে পারেন। আরামদায়ক জুতা ব্যাবহার করুন। টাইট জুতা বা লম্বা হীলের জুতার কারণে পা আরও বেশী ফুলে যেতে পারে।
 
২) যখন বিশ্রাম নেবেন বা শুয়ে থাকবেন তখন পায়ের নীচে বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে পা উপরের দিকে তুলে রাখুন। এতে যেমন আপনার রিলাক্স হবে তেমনি এতে শরীরে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হবেনা। সবচাইতে ভালো হয় যদি শুয়ে থাকা অবস্থায় পা আপনার হার্টের চাইতে উপরে রাখা যায়। তবে যেটা আপনার জন্য আরামদায়ক সেটাই করুন।
 
৩) গর্ভাবস্থায় ঢিলা এবং আরামদায়ক কাপড় পরার চেষ্টা করুন, যাতে শরীর কোন চাপ না পড়ে। এ ছাড়াও সুতি কাপড় পড়লে অতিরিক্ত গরম লাগার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গরমের কারণে ইডেমা আরও বাড়তে পারে। এজন্য গরম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
 
৪) ব্যায়ামের ফলে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে এবং অতিরিক্ত তরল দেহ থেকে বেড়িয়ে যায়। তবে কোন কোন ব্যায়াম গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য উপযোগী সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করে নিন। নিয়মিত হাঁটাচলা করুন এবং মুভমেন্টে থাকার চেষ্টা করুন।
 
৫) আপনার শোওয়ার ঘর যাতে ঠাণ্ডা, আরামদায়ক এবং বাতাস চলাচলের ব্যাবস্থা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাম পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এটা শরীরের ডান পাশে থাকা শিরায় চাপ কম পড়বে যা শরীরের নিম্নাংশ থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ করে। বিছানার চাদর যাতে সুতির কাপড়ের তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এতে ঘুমানোর সময় বেশী গরম লাগবেনা।
 
৬) অতিরিক্ত লবন শরীরে পানি ধরে রাখে। তাই খাবারে অতিরিক্ত লবন পরিহার করুন। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন প্যাকেটজাত খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত সোডিয়াম কমানোর আরেকটি উপায় হলো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, যেমন- কলা, অ্যাপ্রিকট, কমলা, মিষ্টি আলু, বিট ইত্যাদি।
 
৭) শরীরের অতিরিক্ত পানি কমানোর জন্য পানি খাওয়া তা আশ্চর্যের মনে হলেও গর্ভাবস্থায় এটা উপকারী। এতে আপনি যেমন হাইড্রেটেড থাকবেন তেমনি এর ফলে অতিরিক্ত তরল প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেড়িয়ে যাবে। তবে চিনি সমৃদ্ধ পানীয়, যেমন সোডা বা প্যাকেটজাত জুস না খাওয়াই ভালো।
 
৮) অতিরিক্ত গরমে শরীর আরও বেশী ফুলে যেতে পারে। তাই গরমে বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক স্থানে থাকার চেষ্টা করুন।
 
৯) সাঁতার কাটা খুবই উপকারী । কারণ এতে শরীরে রক্ত এবং তরল প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। যদি সাঁতার না পারেন তবে সুইমিং পুলে নেমে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতেও উপকার হয়।
 
১০) গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খেতে চেষ্টা করুন। এতে শরীরে পানি আসার সমস্যা কমে যেতে পারে। ধুমপানের কারণে এ সমস্যা বাড়তে পারে তাই ধুমপানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন।
 
১১) কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ম্যাসাজের ফলে শরীরে ফুলা কমতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেশী জোরে মাসাজ করা না হয়, যাতে ব্যাথা না লাগে। এমনভাবে মাসাজ করা উচিত যাতে মাসাজের স্ট্রোকগুলো হার্টের দিকে হয়।
 
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় উপযোগী কিছু কমপ্রেশন স্টকিংস, টাইটস এবং মোজা পাওয়া যায়। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।
সবশেষে মনে রাখবেন ইডেমা বা শরীরে পানি আসা বা শরীর ফুলে যাওয়া গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক যদি না এর সাথে অন্য লক্ষনগুলো দেখা দেয়। তাই সতর্কতা জরুরী। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
 
 

 

স্ট্রোক কী, স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয় কী কী ?


স্ট্রোক হলে করণীয় কী কী


স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের রক্তনালীর একটি রোগ। মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে অথবা ব্লক হওয়ার  কারণে মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়ে আক্রান্ত অংশের কোষ নষ্ট হওয়াকে স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক বলে৷ 

স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের কোষগুলোর বেঁচে থাকার অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ মস্তিষ্কের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই রক্ত সরবরাহ দুই থেকে পাঁচ মিনিটের বেশি বন্ধ থাকলেই স্নায়ুকোষ স্থায়ীভাবে ধ্বংস হয়।

 

স্ট্রোকের লক্ষণ বা উপসর্গঃ

১) শরীরের কোনো একদিকে দুর্বলতাবোধ করা বা নাড়াতে না পারা

২) হাত-পা অবশ অবশ ভাব হওয়া 

৩) মুখ একদিকে বেঁকে যাওয়া

৪) প্রচণ্ড মাথাব্যথা হওয়া 

৫) কথা অস্পষ্ট হওয়া, জড়িয়ে যাওয়া বা বলতে না পারা

৬) বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া 

৭) দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া

৮) মুখের অসাড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া

৯) বেসামাল হাঁটাচলা বা ভারসাম্য না থাকা

১০) হঠাৎ খিঁচুনি বা ধপ করে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হওয়া ইত্যাদি।


স্ট্রোক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়ঃ উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে স্ট্রোক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এমন হলে যা করতে হবে তা হলো :

১) রোগীকে একদিকে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। এ অবস্থায় কোনো খাবার বা ওষুধ মুখে দেওয়া যাবে না। কারণ এগুলো শ্বাসনালিতে ঢুকে আরো ক্ষতি করতে পারে।

২) মুখে জমে থাকা লালা, বমি পরিষ্কার করে দিতে হবে।

৩) গায়ে থাকা জামা-কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে বা সম্ভব হলে খুলে দিতে হবে

৪) রোগীকে অতি দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিতে হবে৷ মনে রাখবেন, রোগীকে যত দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হবে তত ক্ষতি কম হবে৷ যত দেরি হবে ততই ব্রেনের কোষ ধ্বংস হয়ে যাবে৷ 

৫) হাসপাতালে যাওয়ার সময় খেয়াল করে রোগীর আগের চিকিৎসার ফাইলপত্র নিতে হবে।


প্রয়োজনীয় পরীক্ষাঃ

কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে জরুরী ভিত্তিতে ব্রেইনের রেডিওলজিক টেস্ট, সিটিস্ক্যান, এমআরআই করা উচিত। ঘাড়ের রক্তনালির ডপলার, হার্টের সমস্যার জন্য ইকো পরীক্ষা করা উচিত। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতাও পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রয়োজনে এনজিওগ্রাম ও ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাও করতে হবে।


তাৎক্ষনিক চিকিৎসাঃ স্ট্রোক হলে যেহেতু মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং কম রক্তপ্রবাহ নিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারে না, তাই তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করতে হয়। ওষুধ প্রয়োগ করে রক্তের চাপ, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। রক্তের জমাট বাঁধা অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করতে হবে। প্রাথমিক ধাপ কাটিয়ে ওঠার পর দীর্ঘদিন ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। তাই স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিলম্বে চিকিৎসা নিলে জটিলতা বাড়ে এবং রোগী মারাও যেতে পারে। 


চীনের বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। 

১। স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। তাই প্রথম কাজ হবে ওই ব্যক্তির বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।

২। রোগীকে সরানো যাবে না, নড়াচড়া করা যাবে না। কারণ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে।

৩। পিচকারি সুই অথবা সেলাই সুই কয়েক সেকেন্ড আগুনের শিখার উপরে রেখে গরম করে নিয়ে সুচটি জীবানুমুক্ত করতে হবে। তারপর সুচ দিয়ে রোগীর হাতের ১০টি আঙুলের ডগার নরম অংশে ছোট ক্ষত করতে হবে। এমনভাবে করতে হবে যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়। এ কাজটি করার জন্য কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে আঙুল থেকে যেন যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত বের হয়। 

এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন, দেখবেন রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।

৪। যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করতে হবে। এমনভাবে ম্যাসেজ করতে হবে যাতে রোগীর কান লাল হয়ে যায়। লাল হলে বুঝতে হবে কানে রক্ত পৌঁছেছে।

৫। এরপর দুই কান থেকে দুই ফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য কানের নরম অংশে সুচ ফুঁটাতে হবে। কয়েক মিনিট পর দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না।

এরপর রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার এই পদ্ধতিকে বলা হয় রক্তক্ষয় পদ্ধতি। চীনে চিকিৎসার অংশ হিসেবে প্রথাগতভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগ শতভাগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।


স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়ঃ

* নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে

* কেউ উচ্চ রক্তচাপের রোগী হলে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খান এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করবেন না।

* ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন

* নিয়ম করে হাঁটা ভালো

* দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন

* মানসিক চাপ পরিহার করে চিন্তামুক্ত থাকুন

* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

* মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।