এর উত্তর খুজতে গিয়ে অজানা এক তথ্য বেরিয়ে আসে। সাধারণত জেগে থাকা অবস্থা থেকে সবেমাত্র ঘুমোতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে এই ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এ সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক ঠিকমত উপলদ্ধি করতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় ‘হিপনিক জার্কস’।
ঠিক কেন মস্তিষ্ক অনুভব করতে পারে না শরীরের এমন অবস্থা?
আসলে শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাসল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান উপলদ্ধি করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়। যদিও কিছু মানুষ এটাকে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও এই ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। সহজ ভাবে বলা যায়, স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা প্রবাহ ঠিকমতো উপলদ্ধি করতে না পারায় ঘুমের মধ্যে শরীরে এই ঝাঁকুনি হয়। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।