তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা কি কি





অসাধার ঔষধিগুনে পরিপূর্ণ ও পুষ্টিগুণে সমৃ্দ্ধ খেজুরের উপকারিতা ও গুনাগুন অনেক। এছাড়াও রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক, শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় এর মত ক্ষমতা ও মারণ রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা৷ তাই আপনাদের জন্য রইল খেজুরের কিছু আজানা তথ্য৷
খেজুরের চেয়ে আর কোন উত্তম জিনিষ থাকলে আল্লাহ তা’আলা মরিয়াম (আঃ) কে ঈসা (আঃ) এর জন্মের পর তাই খাওয়াতেন। কুরআনে কারীমের সূরা মরইয়মে আল্লাহ তা’আলা হযরত মরইয়ম (আঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, খেজুরের ডাল ধরে নাড়া দাও, তুমি তরতাজা সুপক্ক খেজুর পেয়ে যাবে। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রসূতির জন্য খেজুরের চেয়ে উত্তম খাবার দ্বিতীয়টি আর নেই। হাকীমগন লিখেছেন, খেজুর খেলে নেফাসের রক্ত যদ্বারা দেহের ভিতরের আবর্জনা বের হয়ে যায় -তা অধিক পরিমানে নির্গত হয় এবং স্ত্রীর স্বভাবে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ও দৈনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে এবং প্রসবের ফলে শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে।

•প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ২৭৭ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়৷ এতে শর্করা ৭৪,৯৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮১ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০.০০ গ্রাম ও ৬.৭ গ্রাম ফাইবার রয়েছে৷ এছাড়াও এতে প্রতুর পরিমাণে ভিডামিন এ, সি, কে, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফসফরাস, থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বিটা-ক্যারোটিনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে৷ তবে শুকনো খেজুরের ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়৷
•খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ফাইবার৷ গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরে ক্যানসার প্রতিরোধ করার উপাদান রয়েছে৷ অন্ত্রের ক্যানসার নিরাময়ে এটি খুবই উপকারি৷ নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসারের সম্ভবনাও অনেকটাই কমে যায়৷
•খেজুর প্রসব যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে৷ এটি জরায়ুর মাংসপেশি দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে৷ এছাড়াও এই ফল প্রসব পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়৷
•খেজুর হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ও রক্ত পরিশোধন করে৷ এটি হৃদপিন্ডের সংকোচন প্রসারণ সঠিক রাখে৷ তাই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য খেজুর ভীষণ উপকারি৷
•খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বর্তমান৷ ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে৷ রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর৷
•দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে শরীরে প্রচুর গ্লুকোজের প্রযোজন হয়৷ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকায় এই ঘাটতি পূরণ হয়৷ এছাড়াও খেজুর শরীরে রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে৷
•ক্যালসিয়াম গাড় গঠনে সাহায্য করে৷ খেজুরে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে৷ এর ফলে এটি হাড় মজবুত করে ও হাড়ক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত রাখে৷
•এছাড়াও খেজুর হজমবর্ধক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়, যৌনশক্তি বাড়ায়, মুখে রুচি আনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়৷ খেজুরের বীজ রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷
•এছাড়াও খেজুর ফুলের পরাগরেণু পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করে শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে৷