আম খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ আমের মতো এতো সুস্বাদু ফল আর নেই। আমকে বলা হয়, ফলের রাজা। আমের খোসা ফেলতেও মায়া হয়। কারণ মনে হয়, খোসার সঙ্গে বেশ কিছু আমও চলে যাচ্ছে। এখন যেহেতু আমের মৌসুম, তাই প্রত্যেক বাড়িতেই আম খাওয়ার ধুম। তবে রমজান মাস শুরু হওয়ায়, সারাদিনের উপবাসের পর ইফতারে আম থাকা যেন চাই-ই চাই। কিংবা রাতে অথবা সেহরিতে। আমের প্রতি সকলের এতো টান স্বাভাবিকভাবেই সুস্বাদুর পাশাপাশি আম শরীরের জন্য উপকারিতা হওয়ার দরুনও। কিন্তু যুগটা যেহেতু এখন ভেজালের, তাই বাজারের সব আমই যে গাছপাকা, তা কিন্তু নয়। রাসায়নিক উপায়েও পাকানো হচ্ছে আম। ফলে আম যেখানে শরীরের জন্য উপকারী হওয়ার কথা সেখানে ফরমালিন, কার্বাইড মিশ্রিত হওয়ায় তা হয়ে উঠছে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং আম কেনার সময় আপনাকে সচেতন থাকতে হবে যে, তা রাসায়নিক মুক্ত কিনা। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন? জেনে নিন কয়েকটি উপায়।
* আমের ওপরে মাছি বসছে কিনা দেখুন। রাসায়নিক থাকলে মাছি বসবে না।
* গাছপাকা আম হলে দেখবেন, আমের গায়ে সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হয় ঝকঝকে সুন্দর ও পরিস্কার।
* গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ থাকে। রাসায়নিকে পাকানো আমের গা হয় দাগহীন। কারণ, কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়।
* গাছপাকা আমের গায়ের রঙ-ও আলাদা। গোঁড়ার দিকে একটু গাঢ় রঙ। রাসায়নিক দেওয়া আমের আগাগোড়া হলদে রঙ হয়ে যায়।
* হিমসাগর সহ আরো বেশকিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ থাকে। গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর।
* আম কেনার আগে নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকুন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে চেনা গন্ধ পাবেন। ওষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না কিংবা বাজে গন্ধ থাকে।