তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

কি দেখে বুঝবেন একজন নারী গর্ভবতী







উর্বর সময়ে বা বিপদজনক সময়ে কিংবা হিট পিরিয়ড যাই বলেন না কেন, এসময় কোনও সক্ষম মহিলার ডিম্বাণু এবং কোনও সক্ষম পুরুষের শুক্রাণু মিলিত হলে ভ্রূণের সঞ্চার হয় অর্থাৎ উক্ত মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়েন ৷ এরপর ভ্রূণ জরায়ুতে ক্রমেই বড় হতে থাকে, এই অবস্থাকে আমরা গর্ভাবস্থা বলি ৷

আমরা অনেকেই জানি একটি সুস্থ বাচ্চা জণ্ম দেয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে বিভিন্ন ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়৷ আর এসব সাবধানতা অবলম্বন না করলে বাচ্চা এবং মা দুজনেরই বিপদ। তাই আগে থেকে সাবধান হতে গেলে আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিৎ গর্ভের প্রাথমিক লক্ষণ সমূহ কি কি? তাই আজকের আয়োজন গর্ভের লক্ষণ -


গর্ভধারণের সময় একজন নারীর শরীরের অনেক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়৷ যেমন:

* মাসিক স্রাব বন্ধ হওয়া
* বমি বা বমি বমি ভাব
* ঘন ঘন প্রস্রাব ত্যাগ
* স্তনের পরিবর্তন
* জরায়ুর পরিবর্তন
* তলপেটে ও মুখে কালো দাগ দেখা যায়, তল পেটের ত্বক টান ধরেল পেটের ত্বকে সাদা দাগ দেখা যায়
* শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়
* গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া (কুইকেনিং) টের পাওয়া (৪ মাস পর)৷
* গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন (৫ মাস পর)৷

গর্ভাবস্থা পরীক্ষা:
* নিয়মিত তারিখে মাসিক না হবার তারিখ থেকে আরও ২ সপ্তাহ পর সকাল বেলার প্রস্রাব পরীক্ষা করে গর্ভাবস্থা বোঝা যায়৷

* যে সব মহিলার মাসিক নিয়মিত নয় বা অন্য কোনও সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় (নিয়মিত তারিখে মাসিক না হবার কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ পর)৷