তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

গর্ভবতী মায়ের জন্য পালনীয় বিষয়







গর্ভবতী মায়ের সুস্থ বাচ্চা প্রসব করার জন্য এবং নিজে সুস্থ থাকার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় ৷ আর এসব নিয়ম
প্রসূতি মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই আজকের আলোচনায় থাকছে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা এড়ানোর জন্য দরকারী কিছু পরামর্শ ৷

১) প্রসূতি মাকে স্বাভাবিক খাবারের বাইরেও প্রতিদিন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে ৷

২) মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং দুধ জাতীয় প্রাণিজ আমিষ নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে।

৩) স্থূল বা মোটা মায়েদের জন্য শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত, রুটি) কিছুটা কম খেতে হবে ৷


৪) গর্ভবতী মাকে প্রচুর পরিমানে পানি পান করাতে হবে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয় এবং প্রস্রাবে ইনফেকশন না হয়।

৫) সবুজ শাক, হলুদ ফল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

৬) মা স্বাভাবিক কাজকর্ম করবেন, তবে পরিশ্রম সাধ্য ভারি কাজ না করাটাই ভালো।

৭) গর্ভবতী মা প্রতিদিন দুপুরে খাবার পর দুই ঘণ্টা এবং রাতে কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমাবেন।

৮) হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। তবে ব্যায়ামের বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷

৯) গর্ভধারণের প্রথম ও তৃতীয় ভাগে সহবাস না করা এবং মধ্যভাগে সাবধানতার সঙ্গে সহবাস করা যেতে পারে। গর্ভপাতের ইতিহাস আছে এমন মায়ের ক্ষেত্রে সহবাস এড়ানো বাঞ্চনীয়।

১০) প্রথম ও শেষ ভাগে উড়োজাহাজ বা এমন কোনো যানে ভ্রমণ না করা, যেখানে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি হয়।

১১) গর্ভাবস্থায় লং জার্নি বা দীর্ঘ পথ ভ্রমন না করাটাই সবচেয়ে ভালো ৷ আর ১ম ও ৩য় ট্রিমস্টারে কোন মতেই ঝাকুনিযুক্ত ভ্রমন করা যাবে না ৷

১২) ধূমপান, মদ্যপান বা অন্য কোনো নেশা থেকে বিরত থাকতে হবে ৷

১৩) ধনুষ্টংকারের টিকা নিতে হবে।

১৪) প্রতিদিন গোসল করা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে ৷

১৫) ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না ৷

১৬) প্রসব নরমাল বা সিজারিয়ান যা-ই হোক বাড়ির পরিবর্তে হাসপাতালে করানোর ব্যবস্থা করা।