তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

কিভাবে ইচ্ছে মত ছেলে বা মেয়ে সন্তানের জন্ম দিবেন





সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা
মূলত শারীরিক মিলনের সময়ের ওপরে নির্ভর করে। আর কি উপায়ে শারীরিক মিলন করতে হবে তা জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। যথা:

১) ওভিউলেশন বা
ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়া
২) স্পার্ম বা শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিশিক্ত করন।

প্রথমে জানা দরকার ওভিউলেশন কি?

প্রতিটি নারীর জীবনে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের মত একটি সময়সীমা থাকে যখন
ওভিউলেশন ঘটে। এই ওভিউলেশন বা ডিম্বপাতের তিন দিন আগ থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়। কারণ
ডিম্বানু কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, অপরপক্ষে শুক্রাণু নারীর শরীরে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরীভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই এই সময়ের মাঝে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারণ ঘটে।



এবার আসুন সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা কিভাবে ঠিক করা যায়?

এজন্য জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব। সাধারনত দুই ধরনের ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণু রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে x এবং y। এই ক্রোমোজোম দিয়েই বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারণ হয়ে থাকে।
যেমন x ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হলে সন্তান মেয়ে হবে,
আর Y ক্রোমোজোমের দ্বারা হলে সে ছেলে হবে।
জেনে রাখা দরকার যে, Y শুক্রাণু তুলনামূলক ভাবে অনেক ছোট, কিন্তু তা
আবার বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ
জীবিত থাকে না।
অপরপক্ষে X শুক্রাণু বেশ বড় এবং একটু ধীরগতির, এগুলো আবার একটু বেশী সময় বাঁচে।

ছেলে বা মেয়ে নিতে আমাদের করনীয় কি?

ছেলে সন্তান চাইলে Y শুক্রাণু
যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে
পারে আমাদের সে ব্যবস্থাই করতে হবে। এজন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। নয়তো Y শুক্রানুটি আর কার্যকরী থাকবে না।
আবার আপনি যদি মেয়ে সন্তান চান তবে
ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। এতে করে ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। বেঁচে থাকবে শুধু X শুক্রাণুগুলো। যার ফলে মেয়ে সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে অর্থাৎ কন্যা সন্তান জন্ম নিবে।