তথ্য ও প্রযুক্তির মশাল জ্বলে উঠুক হাতে হাতে

রসুনের ১০টি উপকারিতা





রান্নাঘর থেকে রসুন ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ওষুধের দোকানে। এর কারণ হল, রসুনের রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ ।রসুন,পেঁয়াজ এবং অন্যান্য ঝাঁঝালো সবজি অনেক ক্ষেত্রেই বেশ উপকারী। ক্যান্সার গবেষকদের মতে রসুন ও পেঁয়াজ নিয়মিত খেলে পুরুষরা প্রষ্টেট ক্যান্সারহাত থেকে রেহাই পেতে পারে। চীন দেশের গবেষকরা এ ব্যাপারে আরো উচ্চকিত। তারা বলেন, যারা প্রত্যহ ১০ গ্রামের অধিক পরিমাণে রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য ঝাঁঝালো স্বাদের সবজি খেয়ে আসছেন, তাদের প্রষ্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যারা প্রত্যহ ২ গ্রামের কম খাচ্ছেন তাদের অর্ধেক (৫০%)। ১০ গ্রাম পুর্ণ করতে ৩ কোয়া রসুন বা ১ চা-চামচ পেঁয়াজের কুচিখেতে হবে। এটি খুবই সহজ। কাচা রসূন খাওয়া সবচেয়ে উপকারী ।রান্না করা রসুন বা পেঁয়াজ খেলে তা কম উপকারী হবে-এরুপ কোনো তথ্য আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত আসেনি।
রসুন শুধুমাত্র রান্নার কাজে লাগে এমনটি নয়। পেঁয়াজ গোত্রের এই খাদ্যটি ‘দুর্গন্ধযুক্ত গোলাপ’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন রোগ দূরে রাখাসহ আরো বহু উপকারিতা লুকিয়ে রয়েছে রসুনে। এখানে জেনে নিন এমনই ১০টি দারুণ গুণের কথা

১)হৃদযন্ত্র ও লিভারের উপকার : প্রতিদিন রসুনের একটি বা দুটি করে কোয়া খেলে তা স্বাস্থ্যকর হার্ট ও লিভার দেয়। এতে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানও রয়েছে। এটি বিপাক ক্রিয়া সুষম করে।

২)কফ ও কাশি : যেকোনো বয়সে সর্দি-কাশির জন্য উপকারী রসুন। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস কফ এবং সাধারণ সর্দির জন্য বিশেষ উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণায়। প্রাকৃতিক কফ সিরাপ বানিয়ে নিন এভাবে- এক কাপ পানিতে এক কোয়া রসুন সেঁচে দিন এবং তা মিনিট পাঁচেক গরম করুন। এই পানিকে কিছুটা মিষ্টি করতে এক চামচ মধু দিয়ে নিন একং খেয়ে ফেলুন। এ ছাড়া তিন কোয়া রসুন কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। সর্দি-কাশি চলে যাবে।

৩)খেলোয়াড়ের পা : ছত্রাক একদম পছন্দ করে না রসুন। তাই খেলোয়াড়দের পায়ে যেমন ছত্রাক হয়, তেমনি আমাদের পায়েও ছত্রাক হয়। দুই বা তিন কোয়া রসুন নিয়ে পারিতে দিয়ে গরম করুন। তারপর একটি ফুটবাথে ওই পানি নিয়ে তাতে দুই পা ভিজিয়ে রাখুন। এভাবে কয়েক দিন ধরে আধা ঘণ্টা করে ভিজিয়ে রাখলে ধীরে ধীরে উন্নতি হবে।

৪)কেটে গেলে জ্বালা-পোড়া কমাতে : রসুনে প্রদাহজনিত যন্ত্রণা কমানোর উপাদান রয়েছে। তাই কোথাও পুড়ে কালশিটে পড়লে বা কেটে গেলে যন্ত্রণা শুরু হলে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে দিন। দেখবেন যন্ত্রণা বেশ কমে এসেছে।

৫)চুলকানি উপশমে : ত্বকের যে সব স্থানে চুলকানি হয়েছে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে দিন। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলকানি দূর করে দেবে।

৬)মশা দূরে রাখতে : আপনার ত্বকে যদি একটু রসুন ঘষে দেন, তবে আপনাকে নয় পাশের জনকে মশা কামড়াবে। এর গন্ধ মশার জন্য একটু বেশি তীব্র যা সে সহ্য করতে পারে না। এভাবে মশা যেখানে রয়েছে সেখানে রসুন কেটে রেখে দিতে পারেন।

৭)প্রাকৃতিক কীট-পতঙ্গ দমন : বাড়িতে বা আশপাশের বাজে কীট-পতঙ্গ দূর করতে বাড়িতেই ওষুধ বানাতে পারেন। যেকোনো দোকান থেকে তরল সাবান কিনুন। একটি গামলায় পানি গরম দিয়ে তাতে দুই মুঠো রসুন ছেড়ে দিন। বেশ কিছুক্ষণ গরম করে স্প্রে-বোতলে করে রসুনমিশ্রিত পানি নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ লিকুইড সাবান দিন। এবার স্প্রে করুন।

৮)জীবাণুমুক্তকরণ : একটি স্প্রে বোতল সাদা ভিনেগার দিয়ে পূরণ করুন। এতে তিন-চারটি রসুনের কোয়া কেটে দিন। কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা কাজের যেকোনো টেবিল বা আববাবের উপরিতলে স্প্রে করুন এবং মুছে ফেলুন। জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে।

৯)ফাটা কাঁচ জোড়া লাগাতে : কাঁচ বা চুলের সামান্য ফেটে যাওয়া অংশ ঠিক করতে আঠার কাজ করে রসুন। একটি রসুন থেঁতলে নিয়ে এর ঘন রস ফাটা অংশে দিলে তা আটকে গেছে বলেই মনে হবে। চুলে দিলে ফাটা উপরিভাগ দেখবেন মসৃণ হয়ে গেছে।

১০)ডি-আইসার : শীতের দেশে গাড়িতে রসুনের লবণ বেশ কাজের ডি-আইসার হিসেবে কাজ করে। তা ছাড়া রাস্তায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বরফ জমতে বাধা দেয় রসুনের লবণ।

রসুন এর ৩০ টি অসাধারন স্বাস্থ্য উপকারিতা




রসুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নার বেশ উপকারী একটি অংশ। মাংস রান্না করা থেকে শুরু করে সবজি ভাজি কিংবা ভর্তা তৈরিতে রসুনের চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেহে রসুন স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক গবেষণা করা হয়েছে । এবং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় রসুন ব্যাবহারের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। আজকে চলুন তাহলে জেনে নিই রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো।

১। অস্টিওপোরোসিস চিকিৎসায় সাহায্য করে।

২। দেহের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

৩। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।

৪। হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে।

৫। ট্রিটিং এবং ফ্লু ও উচ্চ শ্বাস নালীর সংক্রমন প্রতিরোধ করে।

৬। দেহে ব্যাকটেরিয়া বিস্তার প্রতিরোধ করে।

৭। যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাহায্য করে।

৮। দেহে আঘাত বা আঘাত জনিত কারণে পুজ হলে তা সাড়াতে সাহায্য করে।

৯। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১০। দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

১১। কোলন ক্যানসার বিস্তারে বাধা প্রদান করে।

১২। পিত্ত থলির ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

১৩। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

১৪। রেকটেল ক্যানসার প্রতিরোধরোধ করে।

১৫। প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

১৬। খাদ্য হজমে সাহায্য করে।

১৭। ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।

১৮। অন্ত্রের কৃমি ও প্যারাসাইট নিহত করে।

১৯। বাত চিকিৎসায় সাহায্য করে।

২০। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সাহায্য করে।

২১। দাঁতের ব্যথা জনিত সমস্যা দূর করে।

২২। ত্বকের ব্রন সমস্যা দূর করে।

২৩। ত্বকে ফুসকুড়ির জন্য দায়ী ভাইরাস দূর করতে সহায়তা করে।

২৪। ত্বকের নানা ধরণের সমস্যা সমাধান করে।

২৫। আমাদের দেহের ভেতরের নাড়ী সমূহকে শীতল রাখে।

২৬। রসুন হাঁপানি রোগের চিকিৎসায় খুব উপযোগী।

২৭। হুপিং কাশি সমস্যা প্রতিহত করে।

২৮। অনিদ্রা রোগে সাহায্য করে।

২৯। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৩০। ক্রনিক ব্রংকাইটিস দূর করে।



মধুর ১২টি জাদুকরি উপকারিতা





প্রাচীন কাল থেকেই ঔষধ হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে চাইনিজরা প্রতিদিন দুধ ও মধু মিশিয়ে সেটা রুটি দিয়ে খেতো। এটা তাদের একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছিলো। আবার কেউ কেউ হালকা গরম পানিতে মধু দিয়ে অথবা চায়ের সাথে মধু দিয়ে খেতো। এখনও এই অভ্যাস অনেক চাইনিজদের মধ্যেই দেখা যায়।
সকাল বেলা এক চামচ মধু আপনার দিনের শুরুটাকে মধুর মত মিষ্টি করে দিবে। শুধু তাই নয়, মধুর আছে অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। রূপ চর্চা থেকে শুরু করে রোগের ঔষধ তৈরীতে মধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসুন জানা যাক ১ চামচ মধুর উপকরীতা সম্বন্ধে-

১)মধুতে রয়েছে হিউম্যাকটেন্ট নামে এক ধরনের যৌগ। যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কাজ করে। এ যৈগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে।যার জন্য বার্ধ্যকের হাত তেকে ও অনেকটা রেহাই পায় ত্বক। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু চায়ের সাথে খেলে উপকার আছে। ত্বকের জন্য প্রতিদিন ১ চামচ মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু ত্বকের মৃত কোষ দুর করে ত্বককে করে আরো মসৃণ।
২)মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এই জন্য কাটা, ক্ষত ও পুড়ে যাওয়া জায়গায় চিকিৎসার জন্য মধু ব্যবহার করা হয়। মধু ব্যবহারের ফলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায় এবং ক্ষত স্থান মসৃণ করে দেয়।
৩)মধুতে অ্যান্টিফাঙ্গাল নামক আরএকটি উপাদান আছে যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। ত্বকে চর্মরোগের জন্য ক্ষত স্থানে নিয়মিত মধু লাগান দেখবেন খুব দ্রুত নিরাময় হবে।
৪)মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ আছে । এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ত্ককে রক্ষা করে। মধু একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। ১ চামচ মধুর সাথে হালকা পানি মিশিয়ে রোদে পোড়া স্থানে লাগালে রোদে পোড়া দাড় দূর হবে।
৫)মধু শরীরের শক্মতি সরবরাহ করে। কারণ মধুতে রয়েছে শুক্ধুত বর্তেধক গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু খান, দেকবেন আপনার দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর হবেও আপনাকে রাখবে এনার্জিতে ভরপুর।
৬)প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৭) ঠোট আকর্মষনীর ও নমনীয় করতে রাতে ঘুমানোর আগে ঠোটে মধু লাগান। মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তোলে।
৮)মধুর ভিটামিন B1, B2, B3, B4, B6, আয়োডিন(I), দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৯)চায়ের সাথে বা হালকা গরম পানির সাথে মদু মিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
১০)প্রতিদিন মধু খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।
১১)মধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়।
১২) প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। কুশকি দূর হবে।

সুস্থতা ও যৌবন ধরে রাখতে গাজরের গুনাগুন





গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের স্নায়ুকে করে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কচি গাজর খায়, তাদের চোখের অসুখ হয় তুলনামূলক কম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে গাজরের গুরুত্ব অনেক।


*গাজরের রস দেহে চর্বির মাত্রা কমায়। তাই ওজন কমাতে চান এমন ব্যক্তিরা কচি গাজর, কাঁচা পেপে, কচি বাঁধাকপির টুকরা খেতে পারেন ভাত, আলু, রুটির পরিবর্তে। গাজর রক্তের প্রধান উপাদান আরবিসিকে দীর্ঘজীবী করে। এতে রক্তে বেড়ে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত বাড়াতে হলে তাই প্রতিদিন অন্তত একটি কচি গাজর খান।

*শরীরের যেসব কোলেস্টেরল রক্তের মধ্যে মিশে রক্তে জমাট বেঁধে যায়, হূৎপিণ্ড থেকে রক্ত সারা শরীরে পৌঁছাতে বাধা তৈরি করে, সেসব কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় গাজর। আর কিছু কোলেস্টেরল বা চর্বি রয়েছে, যা ত্বকে কোলেস্টেরলের বা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

*যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর রক্তের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করবে গাজর। মানুষের মেধাশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করে গাজর। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে করে দ্বিগুণ কর্মক্ষম। তাই গাজর হোক আপনার বন্ধু।

*নতুন দাঁত বের হয়েছে বা সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেতে পারে, এমন শিশুদের জন্য গাজর দিয়ে তৈরি খিচুড়ি যথেষ্ট উপকারী। গাজর খেলে দাঁতের মাড়ির দুর্বলতা কমে, খাবার হজম হয় ভালোভাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

*ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ গাজরে অনেক বেশি, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে খনিজ লবণও রয়েছে পর্যাপ্ত হারে, যা মানুষের হাড়, দাঁত, নখ, চুলের জন্য বয়ে আনে সুফল। শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটও এর উপাদান। তাই গাজর বেশি মিষ্টি হলে কিডনি রোগে আক্রান্ত, অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তি ও ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজর খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। মাটির নিচে জন্মানোর জন্য এতে শর্করার পরিমাণ থাকে বেশি, ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজরের পরিমাণ কমিয়ে সালাদে বাড়িয়ে দিন শসার পরিমাণ।

*মায়ের দুধের পরিবর্তে কৌটার দুধ খায়, এমন শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় বেশি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দেবে গাজরের খিচুড়ি। শিশু গাজরের খিচুড়ি না খেলে দিতে পারেন গাজরের হালুয়া। গাজরের হালুয়া শিশুদের বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে। কারণ, চিনি থাকে হালুয়ায়। চিনি মানে গ্লুকোজ, যা মস্তিষ্কের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।

*লিভার সুস্থ রাখে :
গাজর একটি ডেটক্স খাদ্য হিসেবে পরিচিত। ডেটক্স খাদ্য সমূহ লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গাজর লিভারকে পরিস্কার করে। লিভারঘটিত সকল ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজর লিভারে জমে থাকা মেদ দূর করতে সব থেকে কার্যকরী একটি ওষুধ।

*চোখের সুরক্ষায় গাজর :
গাজর ভিটামিন এ তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন এ চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। এছাড়াও গাজরের বিটা ক্যারোটিন লিভারে ভিটামিন এ তে পরিনত হয় যা সরাসরি রেটিনাতে পৌছায়। তারপর এই ভিটামিন এ রেটিনা থেকে রডোপ্‌সিনে এ যায়। রডোপ্‌সিনে একটি হালকা বেগুনি রঙের পিগমেনট যা রাতেরবেলার দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সুতরাং গাজর রাতকানা রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে।

*দাঁতের সুরক্ষায় গাজর :
দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গাজরের গুরুত্ব অনেক বেশি। গাজর খেলে দাঁত পরিষ্কার হয়। দাঁতে জমে থাকা প্লাক দূর হয়। ডাক্তাররা বলেন গাজর খাওয়ার সময় আমাদের মুখে ‘সিলভা’ নামক একটি যৌগের নিঃসরণ ঘটে। সিলভা মুখে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে যা দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা দূর করে।

*চেহারার বয়সের ছাপ দূর করে :
গাজরে বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন ত্বকের ক্ষতি পূরণ করতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন খুব ভালো একটি অ্যান্টি এইজিং এর উপাদান যা মুখের বয়সজনিত দাগ ও রিঙ্কেল দূর করে। গাজর খেলে মুখে বয়সের ছাপ ধীরগতিতে আসে। গবেষকরা বলেন সপ্তাহে ৬টি গাজর চেহারার বয়সের ছাপ দূর করে ।

*ক্যান্সার প্রতিরোধক :
গবেষকরা আবিষ্কার করেন গাজর ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। ফ্যালকারিওনল ও ফ্যালকারিনডিওল দুটি ক্যান্সার প্রতিরোধী যৌগ, যারা দেহে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা প্রদান করে। গাজরে এই দুটি যৌগ প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদন হয়। গাজর খেলে দেহ ভেতর ত্থেকে নিজেকে ক্যান্সার বিরোধী করে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। এছাড়াও গাজর চামড়ার ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত গাজর খান তাদের প্রায় ৭০% মানুষ চামড়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান।

জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা কি কি





অসাধার ঔষধিগুনে পরিপূর্ণ ও পুষ্টিগুণে সমৃ্দ্ধ খেজুরের উপকারিতা ও গুনাগুন অনেক। এছাড়াও রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক, শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় এর মত ক্ষমতা ও মারণ রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা৷ তাই আপনাদের জন্য রইল খেজুরের কিছু আজানা তথ্য৷
খেজুরের চেয়ে আর কোন উত্তম জিনিষ থাকলে আল্লাহ তা’আলা মরিয়াম (আঃ) কে ঈসা (আঃ) এর জন্মের পর তাই খাওয়াতেন। কুরআনে কারীমের সূরা মরইয়মে আল্লাহ তা’আলা হযরত মরইয়ম (আঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, খেজুরের ডাল ধরে নাড়া দাও, তুমি তরতাজা সুপক্ক খেজুর পেয়ে যাবে। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রসূতির জন্য খেজুরের চেয়ে উত্তম খাবার দ্বিতীয়টি আর নেই। হাকীমগন লিখেছেন, খেজুর খেলে নেফাসের রক্ত যদ্বারা দেহের ভিতরের আবর্জনা বের হয়ে যায় -তা অধিক পরিমানে নির্গত হয় এবং স্ত্রীর স্বভাবে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ও দৈনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে এবং প্রসবের ফলে শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে।

•প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ২৭৭ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়৷ এতে শর্করা ৭৪,৯৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮১ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০.০০ গ্রাম ও ৬.৭ গ্রাম ফাইবার রয়েছে৷ এছাড়াও এতে প্রতুর পরিমাণে ভিডামিন এ, সি, কে, সোডিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফসফরাস, থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্ল্যাভিন, বিটা-ক্যারোটিনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে৷ তবে শুকনো খেজুরের ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়৷
•খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ফাইবার৷ গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরে ক্যানসার প্রতিরোধ করার উপাদান রয়েছে৷ অন্ত্রের ক্যানসার নিরাময়ে এটি খুবই উপকারি৷ নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যানসারের সম্ভবনাও অনেকটাই কমে যায়৷
•খেজুর প্রসব যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে৷ এটি জরায়ুর মাংসপেশি দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে৷ এছাড়াও এই ফল প্রসব পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়৷
•খেজুর হৃদয়ের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ও রক্ত পরিশোধন করে৷ এটি হৃদপিন্ডের সংকোচন প্রসারণ সঠিক রাখে৷ তাই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য খেজুর ভীষণ উপকারি৷
•খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বর্তমান৷ ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে৷ রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর৷
•দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে শরীরে প্রচুর গ্লুকোজের প্রযোজন হয়৷ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকায় এই ঘাটতি পূরণ হয়৷ এছাড়াও খেজুর শরীরে রক্ত উৎপাদন করতে সাহায্য করে৷
•ক্যালসিয়াম গাড় গঠনে সাহায্য করে৷ খেজুরে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে৷ এর ফলে এটি হাড় মজবুত করে ও হাড়ক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত রাখে৷
•এছাড়াও খেজুর হজমবর্ধক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়, যৌনশক্তি বাড়ায়, মুখে রুচি আনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়৷ খেজুরের বীজ রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে৷
•এছাড়াও খেজুর ফুলের পরাগরেণু পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দূর করে শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে৷

কিভাবে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত ফোল্ডার বানাতে হয়

আজ আমি শেয়ার করব কিভাবে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত ফোল্ডার বানাতে হয়

প্রথমে নোটপ্যাড খুলুন , তারপর নিচের কোড কপি করে পেস্ট করুন। অতঃপর file থেকে save as ক্লিক করুন এবং name এর ঘরে Lock.bat লিখুন। এবার save করুন
এখন save করা ফাইলটি ক্লিক করলে password চাবে । password দিয়ে enter চাপুন । my folder নামে একটি folder খুলবে । লক করার সময় Lock ফাইলটি ক্লিক করুন এবং y চেপে enter চাপুন । ব্যাস my folder অদৃশ্য হয়ে যাবে ।


cls
@ECHO OFF
title trickytrickzz.com । এখন save করা
if EXIST "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}" goto UNLOCK
if NOT EXIST MyFolder goto MDMyFolder
:CONFIRM
echo Are you sure to lock this folder? (Y/N)
set/p "cho=>"
if %cho%==Y goto LOCK
if %cho%==y goto LOCK
if %cho%==n goto END
if %cho%==N goto END
echo Invalid choice.
goto CONFIRM
:LOCK
ren MyFolder "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}"
attrib +h +s "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}"
echo Folder locked
goto End
:UNLOCK
echo Enter password to Unlock Your Secure Folder
set/p "pass=>"
if NOT %pass%==আপনার পাসওয়ার্ড goto FAIL
attrib -h -s "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}"
ren "Control Panel.{21EC2020-3AEA-1069-A2DD-08002B30309D}" MyFolder
echo Folder Unlocked successfully
goto End
:FAIL
echo Invalid password
goto end
:MDMyFolder
md MyFolder
echo MyFolder created successfully
goto End
:End

কিভাবে পেটের মেদ ও অতিরিক্ত ওজন কমাবেন




পেটের মেদ আমাদের অনেকের জন্যই অনেক বড় একটা সমস্যা। এই মেদ যেমন আমাদের শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনই আমাদের শারীরিক আক্রিতির জন্য অসুন্দর ।
পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রাণঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারে। পেটের মেদের সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।

কিছু কৌশল জানা থাকলে আর প্রতিদিনকার কিছু সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার পেটের চর্বি। জেনে নিন ৮ টি সহজ উপায়। ব্যায়াম না করে দ্রুত ভুঁড়ি কমাবার সহজ উপায় এর থেকে আর কিছু হতেই পারে না।